স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশে ভালো পেস বোলারের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশে মোহাম্মদ রফিকের মত আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোন পেস বোলার ছিল না। মাশরাফি বাংলাদেশের সেই শূন্যস্থান পূরণ করেন।বাংলাদেশ ক্রিকেটের মাশরাফি এক আবেগ ভালোবাসার নাম।যার ব্যাট বোলিং এর পাশাপাশি রয়েছে অধিনায়কত্বের সফল উদাহরণ।২০০১ সালে ৮ই নভেম্বর মাশরাফির অভিষেক ঘটে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে।মজার ব্যপার হলো এই জিম্বাবুয়ের সাথেই ২০০৬ সালে ২৮ নভেম্বর টি-২০তে অভিষেক ঘটে মাশরাফি বিন মর্তুজার। তার দীর্ঘ পথ চলায় একের পর এক ইনজুরিতে টেস্ট ম্যাচ থেকে দূরে থাকেন।
বলা চলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় দুঃসংবাদ। টি টুয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছে ওয়ানডে ও টি-২০ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দেশে ফিরেই এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন
শুধু একদিনের ম্যাচ এবং টি২০ ফরম্যাটেই তাকে বার বার দেখতে পাওয়া যায় অধিনায়কত্ব করতে।কিন্তু এখন থেকে টি২০ থেকে অবসর নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা।
আজ নিউজিল্যান্ডের সাথেই ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচ।তবু শেষ ম্যাচটা পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি।আজ (রবিবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১৮তম ওভারে নিজের বলে আঘাত পান মাশরাফি। কোরি অ্যান্ডারসনের বল থামাতে গেলে বল তার ডানহাতে লেগে লংঅফে চলে যায়। স্কাই স্পোর্টস টিভির রিপ্লেতে দেখা যায় ওই সময় ডান হাত ধরে ব্যথায় কুকড়ে ওঠে মাশরাফির চোখমুখ। মাশরাফির মনে হচ্ছিল তার ডান হাত ছিঁড়ে যাচ্ছে।
এরপর আবার দেখা যায় ওই অবস্থাতেই মাশরাফি পরের বল করার জন্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পারেননি। ফিজিও ডিন কনওয়ে ছুটে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। কিন্তু ওই প্রাথমিক চিকিৎসায় তার হাতের ব্যথা আরও বেড়ে গেলে মাঠের বাইরে চলে যান বাংলাদেশ কাপ্তান। এর পরপরই তাকে এমআরআই’র জন্য তারঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমআরআই রিপোর্টে মাশরাফির ডানহাতের বুড়ো আঙুল থেকে নিচের দিকে ফেটে আলগা হয়ে গেছে। ডাক্তারি ভাষায় এই চোটের নাম রাইট মেটাকার্পেল।
তারঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসকরা মাশরাফির হাতে প্লাস্টার করে দিয়েছেন। আর ধারণা দিয়েছেন এই চোট থেকে সেরে উঠতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন