শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানের রেইছায় শত বছরের পুরনো ধাতু জাদী ও চর্যাপদ রক্ষার সরকারের পৃষ্টপোষকতার আবেদন


বান্দরবানের রেইছায় নিজেদের চেষ্টায় চলছে শত বছরের পুরনো ধাতু জাদি ও চর্যাপদ রক্ষার কাজ ....... ‘সরকারী পৃষ্টপোষকতার পেতে আকুল আবেদন’

সুজন মারমা, বান্দরবান:
বান্দরবান শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দুরত্বে রেইছায় সুউচ্চ পর্বতমালায় অবস্থিত এই ধাতু জাদি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উচু পাহাড়ে এর অবস্থান। স্থানটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অাদি এক পবিত্র তীর্থস্থান। স্থানীয়দের কাছে বহঃঢং জাদি নামে পরিচিত এটি । শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রাচীন এই জাদি এখন বিপন্ন ও বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে অাছে। দীর্ঘ সময় ধরে এই বহঃঢং ধাতু জাদির কোন উন্নয়ন ও সংস্কার মুলক কাজ না হওয়ায় অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কারনে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জনশূন্য অবস্থায় পড়ে অাছে প্রাচীন এই জাদি। ক্রমান্বয়ে উপাসক,উপাসিকা, দায়ক,দায়িকাদের অানাগোনা কমে গেছে। এতে করে পুজনীয় ধর্মপ্রান সকল দায়ক/দায়িকাদের ধর্মচর্চা ও পুজার কাজে বির্পযয় দেখা দিচ্ছে।
ধর্মজ্ঞান যদি লাভ হয়, সেটিই হবে জীবনের স্বার্থকতা। ধর্মজ্ঞান কারো কারো লাভ হয়, কারো কারো লাভ হয় না। ভগবান বুদ্ধ দেবতা, ব্রক্ষা, মানুষ এবং প্রেথের মধ্য দেশনা প্রদান করেছেন বিধায় ধর্মজ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন। তাই এর ধারাবাহিকতায় পবিত্র এই তীর্থস্থানের অাগের পরিবেশ ও ভারসাম্য, ধর্মীয় চর্চা, ধর্মীয় অনুভুতি, ফিরিয়ে অানার লক্ষ্য বান্দরবান সদর ইউনিয়নের রেইছা থলি পাড়ার বাসিন্দা ও অত্র এলাকার সকল ধর্মপ্রাণ জনসাধারন এগিয়ে অাসছেন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কায়িক-বাচনিক-মানসিক ভাবে শ্রম খাটাচ্ছেন প্রাচীন এই বহঃঢং ধাতু জাদীর ঐতিহ্য ও ধর্মজ্ঞান বিকশিত করার জন্য। অনেকে পাহাড়ের লতাপাতা, গাছের ডালপালা ছাটাই করে রাস্তা মেরামতের কাজে ব্যস্ত, অনেকে পাহাড়ের ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যস্ত, অার অনেকে ধাতু জাদির প্রবেশদ্বারে গাছের ডালপালা দিয়ে, মাটি খুড়েঁ সিড়ি মেরামতের কাজে ব্যস্ত, তবুও থেমে নেই ধর্মপ্রান জনসাধারনের প্রাচীন সুউচ্চ এই বহঃঢং ধাতু জাদির ঐতিহ্য রক্ষার অগ্রনী ভুমিকা।
পুন্যর্থীদের অাসা যাওয়া সুবিধার্তে এই জাদির সড়ক নির্মানের কাজ, পুজনীয় ভিক্ষুসংঘের বিশ্রামাগার, সকল দায়ক/দায়িকা, উপাসক/উপাসিকাদের ধর্মীয়চর্চা ঘর, জাদির প্রবেশদ্বারে সিড়ি নির্মান সহ সকল উন্নয়নমুলক কাজে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে স্থানীয়রা। অন্যথায় এই জাদির অাদি নিদর্শন চর্যাপদ ও স্থানীয় জনসাধারনের ধর্মীয় প্রেরনা ধরে রাখা খুবই দুঃসাধ্য হবে।
জগতের সকল জীবের কল্যান হোক......
তথ্য সূত্র ও ধন্যবাদান্তেঃ ফেইসবুক ফ্রেন্ড Sujon Marma Sujon

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন