মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

বাণী অর্চনা-২০১৭ বান্দরবান সরকারি কলেজ


নিউজ ডেক্স:হিন্দু ধর্মমতে সরস্বতী বিদ্যার দেবী। প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে জ্ঞানপিপাসু বিদ্যার্থীরা সরস্বতী দেবীর অর্চনা করে থাকে দেবীর পুণ্য দৃষ্টি লাভের প্রত্যাশায়।

আমাদের দেশে প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মিলে এই পুজার আয়োজন করে থাকে। বান্দরবান সরকারি কলেজেও  এই আয়োজনের ব্যতিক্রম নয় বরং এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যতিক্রম এর আয়োজনের ধরণে। বান্দরবান সরকারি কলেজে  সকল হিন্দু ছাত্রদের  সমন্বয়ে এই পুজা উদযাপন করা হয়।  কলেজ ক্যাম্পাসে     আয়োজন  করা হয় দেবীর বাণী অর্চনার।
এবার পুজো কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছে, গণিত বিভাগের প্রধান সন্তোষ কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক   হিসেবে রয়েছেন, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক টিপু দাশ। সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন, স্বনুপ কান্তি শর্মা। আরো রয়েছেন, কাঞ্চন দেব, সুজন দাশ,নারারণ নাথ, সিকিম দাশ, গোপন দাশ, পাপ্পু দাশ, সুজয় দাশ, সনাতন দে,রুবেল দাশ, কিশোর দাশ।



বান্দরবান  শহরের কোন অনুষ্ঠানই এখন আর তার নিজস্ব গণ্ডির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং তা হয়ে ওঠে সার্বজনীন। সব শ্রেণী পেশার এবং ধর্মের মানুষ সব ধরণের অনুষ্ঠানই উপভোগ করতে চায় শহরের কর্মব্যস্ত সময়ের ফাঁকে খানিকটা আনন্দ লাভের আশায়। বান্দরবান সরকারি কলেজ  ক্যাম্পাসের কোন অনুষ্ঠান হলেতো কোন কথাই নেই।

বান্দরবান সরকারি কলেজের  এই সরস্বতী পুজার একটা বিশেষ দিক হলো রাতে ব্যান্ড শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সংগীত পরিবেশনা করবেন, স্পর্শ ব্যান্ডের সদস্যরা, স্থানীয় শিল্পী সুরিত,  সানি ধরসহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা পুজায় অংশগ্রহণ করে। অধ্যয়নরত বিভাগকে উপস্থাপন করে থাকে। আর এর মাধ্যমে ধর্মীয় আবহের পাশাপাশি সৃষ্টিশীলতার বিষয়টাও উপস্থাপিত হয়।



রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবান সরকারি কলেজে ২০১৭ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের র‍্যাগ ডে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কলেজ নিউজ: বান্দরবান সরকারি কলেজে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের র‍্যাগ ডে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলেজের ইতিহাসে এটি হবে প্রথম র‍্যাগ ডে। কলেজ ক্যাম্পাসে দুপুর ১২টায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।কলেজ সূত্রে জানা যায়,এতে সংগীত পরিবেশন করবেন সরিত অপুর্ব চৌধুরী, স্পর্শ ব্যান্ড, ও সানি ধর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বণিক, আরো উপস্থিত থাকবেন, কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু, যুগ্ন আহ্বায়ক টিপু দাশ ও ২০১৭ এইচ এস সি পরীক্ষার্থী,  সকল ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে ভোজনের ব্যবস্থা রয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়োগ


বঙ্গবন্ধু'র প্রতিকৃতি স্থাপনের দাবিতে বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের স্মারকলিপি প্রদান

 কলেজ নিউজ২৪:বান্দরবান সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপনের দাবিতে ২৯ জানুয়ারি বেলা ১২টায়  অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন কলেজ ছাত্রলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু,যুগ্ন আহ্বায়ক টিপু দাশ, ও কলেজ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু, বান্দরবানটাইমস২৪.কম কে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির জনক, ইতিহাসের অবিসংবাদিত নেতা, উনার আদর্শ ছাত্র সমাজ যাতে ধারণ লালন করতে পারে, এই উদ্দ্যেশে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিকৃতি স্থাপনের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানের রেইছায় শত বছরের পুরনো ধাতু জাদী ও চর্যাপদ রক্ষার সরকারের পৃষ্টপোষকতার আবেদন


বান্দরবানের রেইছায় নিজেদের চেষ্টায় চলছে শত বছরের পুরনো ধাতু জাদি ও চর্যাপদ রক্ষার কাজ ....... ‘সরকারী পৃষ্টপোষকতার পেতে আকুল আবেদন’

সুজন মারমা, বান্দরবান:
বান্দরবান শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দুরত্বে রেইছায় সুউচ্চ পর্বতমালায় অবস্থিত এই ধাতু জাদি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উচু পাহাড়ে এর অবস্থান। স্থানটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অাদি এক পবিত্র তীর্থস্থান। স্থানীয়দের কাছে বহঃঢং জাদি নামে পরিচিত এটি । শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় প্রাচীন এই জাদি এখন বিপন্ন ও বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে অাছে। দীর্ঘ সময় ধরে এই বহঃঢং ধাতু জাদির কোন উন্নয়ন ও সংস্কার মুলক কাজ না হওয়ায় অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কারনে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জনশূন্য অবস্থায় পড়ে অাছে প্রাচীন এই জাদি। ক্রমান্বয়ে উপাসক,উপাসিকা, দায়ক,দায়িকাদের অানাগোনা কমে গেছে। এতে করে পুজনীয় ধর্মপ্রান সকল দায়ক/দায়িকাদের ধর্মচর্চা ও পুজার কাজে বির্পযয় দেখা দিচ্ছে।
ধর্মজ্ঞান যদি লাভ হয়, সেটিই হবে জীবনের স্বার্থকতা। ধর্মজ্ঞান কারো কারো লাভ হয়, কারো কারো লাভ হয় না। ভগবান বুদ্ধ দেবতা, ব্রক্ষা, মানুষ এবং প্রেথের মধ্য দেশনা প্রদান করেছেন বিধায় ধর্মজ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন। তাই এর ধারাবাহিকতায় পবিত্র এই তীর্থস্থানের অাগের পরিবেশ ও ভারসাম্য, ধর্মীয় চর্চা, ধর্মীয় অনুভুতি, ফিরিয়ে অানার লক্ষ্য বান্দরবান সদর ইউনিয়নের রেইছা থলি পাড়ার বাসিন্দা ও অত্র এলাকার সকল ধর্মপ্রাণ জনসাধারন এগিয়ে অাসছেন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কায়িক-বাচনিক-মানসিক ভাবে শ্রম খাটাচ্ছেন প্রাচীন এই বহঃঢং ধাতু জাদীর ঐতিহ্য ও ধর্মজ্ঞান বিকশিত করার জন্য। অনেকে পাহাড়ের লতাপাতা, গাছের ডালপালা ছাটাই করে রাস্তা মেরামতের কাজে ব্যস্ত, অনেকে পাহাড়ের ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যস্ত, অার অনেকে ধাতু জাদির প্রবেশদ্বারে গাছের ডালপালা দিয়ে, মাটি খুড়েঁ সিড়ি মেরামতের কাজে ব্যস্ত, তবুও থেমে নেই ধর্মপ্রান জনসাধারনের প্রাচীন সুউচ্চ এই বহঃঢং ধাতু জাদির ঐতিহ্য রক্ষার অগ্রনী ভুমিকা।
পুন্যর্থীদের অাসা যাওয়া সুবিধার্তে এই জাদির সড়ক নির্মানের কাজ, পুজনীয় ভিক্ষুসংঘের বিশ্রামাগার, সকল দায়ক/দায়িকা, উপাসক/উপাসিকাদের ধর্মীয়চর্চা ঘর, জাদির প্রবেশদ্বারে সিড়ি নির্মান সহ সকল উন্নয়নমুলক কাজে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে স্থানীয়রা। অন্যথায় এই জাদির অাদি নিদর্শন চর্যাপদ ও স্থানীয় জনসাধারনের ধর্মীয় প্রেরনা ধরে রাখা খুবই দুঃসাধ্য হবে।
জগতের সকল জীবের কল্যান হোক......
তথ্য সূত্র ও ধন্যবাদান্তেঃ ফেইসবুক ফ্রেন্ড Sujon Marma Sujon

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ পেলেন সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বিপ্লব




বান্দরবান : ২২ জানুয়ারি বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভাতে আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সদস্যপদ পান বান্দরবানের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বিপ্লব। দীর্ঘ ১ যুগ সংগঠনের বাইরে অবস্থানের পর জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তক্রমে মিজানুর রহমান বিপ্লবকে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করা হয়।www.myreferraldex.com

২৩ জানুয়ারি সাবেক এই ছাত্রনেতা ফেসবুকে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান প্রসঙ্গের একটি চিঠির ছবি শেয়ার করেন। মিজানুর রহমান বিপ্লবকে প্রাপক করে এই চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, বান্দরবান জেলা পরিষদের সভাকক্ষে বান্দরবান আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়,  মিজানুর রহমান বিপ্লবকে সভার সব সদস্যদের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাধারণ সদস্যপদ প্রদান করা হল। এতে বীর বাহাদুরের হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানানো হয়। ত্যাগী কর্মী হিসেবে সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শকে অনুপ্রাণিত করবেন বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।www.myreferraldex



এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বিপ্লব দৈনিক সচিত্র মৈত্রী অনলাইনকে বলেন, দলে ফিরে আসাতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। দলের নেতাদের অনেকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তবে এই মুহূর্তে সবার মনোভাব বোঝা সম্ভব নয়। প্রাথমিক সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ভবিষ্যত বলে দেবে আমি কী দিতে পারব দলকে। তবে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না। দলের স্বপক্ষে কাজ করার জন্য নিজে থেকেই আগ্রহ দেখিয়েছি। নিজেকে উজাড় করে দিয়ে বান্দরবান আওয়ামী লীগকে শক্তিশালি করতে কাজ করবো।

দলে ফিরে আসা প্রসঙ্গে বান্দরবান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর দৈনিক সচিত্র মৈত্রী অনলাইনকে  বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিপ্লবের ফিরে আসাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছি। মানুষের ভুল হতেই পারে। ভুল বোঝে ভুল থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত অনেকে নিতে পারে না। বিপ্লব পেরেছে। ক্ষমা চেয়ে ফিরে এসেছে। আমরা সাধুবাদ জানাই।

দলে সাবেক এই ছাত্রনেতার অবস্থান কেমন হবে এই প্রসঙ্গে দলের সহ-সভাপতি বলেন, সদস্যপদ দেয়া মানে দলের নেতৃত্ব পাওয়া নয়। বিপ্লবকে প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক নিয়মকানুন, শিষ্টাচার মেনে তাকে যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি এখন যে পোস্টে আছি, আমিও যদি বহিষ্কৃত হই, আমাকেও আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান বিপ্লব ১৯৮৮ সালে বান্দরবান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন বিপ্লব। ৯২ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪-৯৭ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মূল আওয়ামী লীগে পথচলা শুরু করেন। ২০০২ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন।
সূত্র-ডিমৈত্রী.কম

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিভৃত জীবন





গার্ডিয়ান:নিজস্ব
সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে এভাবেই নির্জন পাহাড়ে নিভৃতে বাঁচার লড়াই করে চলেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন । ছবি : গার্ডিয়ান
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে কিছু বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নিভৃতে জীবন-যাপন করছে। যাদের কথা কারো জানা নেই। নিজেদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য আঁকড়ে ধরেই সেখানে পড়ে আছে তারা। সম্প্রতি রেহমান আসাদ নামের এক ফটোগ্রাফার পাহাড়ি অঞ্চলে নিভৃতে থাকা কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের চিত্র তুলে এনেছেন।www.myreferaldex.com
যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল গতকাল সোমবার এ খবর জানিয়েছে।
ডেইলি মেইলের ওই খবরে বলা হয়, ফটোগ্রাফার রেহমান আসাদ বান্দরবান জেলার কয়েক সপ্তাহ থেকেছেন। তিনি চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে নিভৃতে থাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পাঁচটি গ্রাম ঘুরেছেন। সেখানে মুরংসহ প্রায় ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় রয়েছে। এর মধ্যে মুরং ওই এলাকার চতুর্থ বৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়।

মুরংদের জীবন-যাপনের চিত্র একদম ভিন্ন। দরিদ্র কৃষক হিসেবে জীবন কাটে তাদের। বাঘ, কুকুর, ছাগল, শুকর, গরুসহ বিভিন্ন প্রাণীই মুরংদের প্রধান খাবার।
আর মুরংদের সবচেয়ে ডিলিয়াস খাবার হলো ন্যাপি। যা মাছ, ব্যাঙ, হরিণ অথবা বন্য শুকরের তেল দিয়ে তৈরি করা হয়।
পাহাড়ের চূড়ায় মুরংদের বাড়ি-ঘর। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি—যেগুলোর স্থানীয় নাম ‘মাচাং ঘর’। বাড়ির সামনে ছোট্ট ব্যালকনিসহ প্রতিটি বাড়িতে তিন থেকে চারটি কক্ষ রয়েছে। সেগুলো শোবার ঘর, রান্নাঘর, স্টোররুম এবং অতিথি কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো তাদের ঘরে কোনো আসবাবপত্র নেই। এমনকি বিদ্যুৎও নেই। তবে কিছু কিছু মুরং আলোর জন্য ছোট সোলার প্যানেল ব্যবহার করে।

নিজেদের তৈরি মাদুর পেতে মাচাং ঘরের মেঝেতেই বিছানা করে একত্রে ঘুমায় মুরংরা।
রেহমান আসাদ জানান, তিনি চমিপাড়া নামের একটি মুরং গ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা ‘কুমলাং উৎসব’ উদযাপন করছে। যেখানে তারা নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে একটি গরু হত্যা করছে। এটি মুরংদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
মুরংদের পুর্বপুরুষরা যখন বুঝতে পারে যে অন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবন-যাপনের জন্য লিখিত ভাষা, নিয়ম-কানুন রয়েছে, তখন তারা তাদের দেবতা তোরাইয়ের কাছে প্রার্থনা করে। এরপর তোরাইয়ের কাছে নিয়ম-কানুন পাঠানো হয়। তোরাই কলাপাতায় নিয়ম-কানুন লিখে রাখে। কিন্তু একটি শয়তান প্রাণী সেগুলো খেয়ে ফেলে। তখন মুরংরা নিরুপায় হয়ে পড়ে। তাই এ উৎসবে গরু উৎসর্গ করা হয়।
উৎসবের সময় তারা সামনের বছর ভালো ফসলের জন্য প্রার্থনা করে। এ ছাড়া পানীয় পান, নাচানাচি করে।

উৎসব উপলক্ষে যখন পুরুষরা বাড়ির তৈরি মদ পান করে বাঁশের বাঁশি বাজানোর প্রস্তুতি নেয়, তখন নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে অলঙ্কার পরে নাচতে শুরু করে। মুরংদের বেশির ভাগই বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। তবে কিছু কিছু লোক খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেছে।
মুরং পুরুষ সংসারের জন্য সামান্য কাজ করে থাকে। খাবারের জন্য পাহাড় থেকে জীব-জন্তু শিকার করাই মুরং পুরুষদের প্রধান কাজ।
তবে নারীরা কঠোর পরিশ্রম করেন। সকাল বেলায় পাহাড়ি ঝরনা, নদী, হ্রদ থেকে পানি সংগ্রহ করেন এবং রান্না করেন। বাড়ির সব কাজ করে থাকেন মুরং নারীরা। এরপর তারা ফসল সংগ্রহের জন্য পাহাড়ে যায়। পাহাড় থেকে কাঠ সংগ্রহ করে।
অবশ্য নারীরা কাজে গেলেও মুরং শিশুরা বাড়িতেই থাকে। শিশুরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে খেলাধুলা করে। তাদের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। শিক্ষা থেকে তারা পুরোপুরি বঞ্চিত।
ফটোগ্রাফার রেহমান আসাদ বলেন, ‘আশা করছি, মানুষজন আমার ছবিগুলো দেখে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন-যাপন সম্পর্কে জানতে পারবে। তাদের সংস্কৃতি, বেঁচে থাকার জন্য লড়াইয়ের কথা জানতে পারবে।’

বান্দরবানে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেফতার

অপরাধ ২৪  টাইমস:
বান্দরবানে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ  ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি রাতে      সিনিয়র  সহকারী পুলিশ সুপার (সদর)  এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ অভিযানে ৪০০ পিস ইয়াবা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিস্তারিত আসছে.......

বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ পেলেন সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বিপ্লব


বান্দরবান : ২২ জানুয়ারি বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভাতে আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সদস্যপদ পান বান্দরবানের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বিপ্লব। দীর্ঘ ১ যুগ সংগঠনের বাইরে অবস্থানের পর জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তক্রমে মিজানুর রহমান বিপ্লবকে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করা হয়।www.myreferraldex.com

২৩ জানুয়ারি সাবেক এই ছাত্রনেতা ফেসবুকে প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান প্রসঙ্গের একটি চিঠির ছবি শেয়ার করেন। মিজানুর রহমান বিপ্লবকে প্রাপক করে এই চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, বান্দরবান জেলা পরিষদের সভাকক্ষে বান্দরবান আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়,  মিজানুর রহমান বিপ্লবকে সভার সব সদস্যদের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাধারণ সদস্যপদ প্রদান করা হল। এতে বীর বাহাদুরের হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানানো হয়। ত্যাগী কর্মী হিসেবে সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শকে অনুপ্রাণিত করবেন বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।



এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বিপ্লব দৈনিক সচিত্র মৈত্রী অনলাইনকে বলেন, দলে ফিরে আসাতে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। দলের নেতাদের অনেকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তবে এই মুহূর্তে সবার মনোভাব বোঝা সম্ভব নয়। প্রাথমিক সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ভবিষ্যত বলে দেবে আমি কী দিতে পারব দলকে। তবে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না। দলের স্বপক্ষে কাজ করার জন্য নিজে থেকেই আগ্রহ দেখিয়েছি। নিজেকে উজাড় করে দিয়ে বান্দরবান আওয়ামী লীগকে শক্তিশালি করতে কাজ করবো।

দলে ফিরে আসা প্রসঙ্গে বান্দরবান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর দৈনিক সচিত্র মৈত্রী অনলাইনকে  বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বিপ্লবের ফিরে আসাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছি। মানুষের ভুল হতেই পারে। ভুল বোঝে ভুল থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত অনেকে নিতে পারে না। বিপ্লব পেরেছে। ক্ষমা চেয়ে ফিরে এসেছে। আমরা সাধুবাদ জানাই।

দলে সাবেক এই ছাত্রনেতার অবস্থান কেমন হবে এই প্রসঙ্গে দলের সহ-সভাপতি বলেন, সদস্যপদ দেয়া মানে দলের নেতৃত্ব পাওয়া নয়। বিপ্লবকে প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক নিয়মকানুন, শিষ্টাচার মেনে তাকে যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি এখন যে পোস্টে আছি, আমিও যদি বহিষ্কৃত হই, আমাকেও আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান বিপ্লব ১৯৮৮ সালে বান্দরবান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন বিপ্লব। ৯২ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪-৯৭ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মূল আওয়ামী লীগে পথচলা শুরু করেন। ২০০২ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন।
সূত্র-ডিমৈত্রী.কম

অরণ্যভূমি খাগড়াছড়ি


ভ্রমন
টাইমস২৪:


রিছাং ঝর্ণা, মাটিরাঙ্গা
সমির মল্লিক : এবারের ভ্রমণ গন্তব্য পাবর্ত্য জেলা খাগড়াছড়ি। উপত্যকা, ঝরনা, পাহাড়, উজান থেকে বয়ে আসা খরস্রোতা চেঙ্গী নদী।মেঘ আর সবুজের সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে অরণ্যভূমি খাগড়াছড়িতে। শহর ছেড়ে পাহাড়ের ঢুকতেই চোখের পড়বে রামগড় চা বাগানের সবুজ চাদরে ঢাকা পাহাড়গুলো। পথের পাশে চা বাগানের রূপ দেখে মুগ্ধ হবে যে কেউ। বাগানের সীমানার সৌর্ন্দয্য শেষ হতে না হতেই চোখে আটকে যাবে বিস্তৃত সব রাবারের বাগানে। এর ভেতরে আলো ছায়ার নাচন দেখতে দেখতে বাস এগিয়ে যাবে পাহাড়ের পথ ধরে, রাবার বাগানের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া এমন মৃসণ পথ শেষ করে প্রথম যাত্রা বিরতি মানিকছড়িতে। মানিকছড়িতেই সকালের নাস্তা সারা। তারপর আবার রওনা। পথের দুপাশে উঁচুনিচু পাহাড়ের সারি, পাহাড়ের সঙ্গে মেঘের অবিচ্ছেদ মিলন, চারপাশের ঘন মেঘের কুণ্ডলী ঘিরে রেখেছে উঁচু পাহাড়ের চূড়াগুলোকে।


খাগড়াছড়ি যাবার পথে মানিকছড়ির অপরুপ রাস্তা
রামগড়ের চা বাগান, পথের পাশের দৃষ্টি নন্দন সারি সারি রাবার বৃক্ষ, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা এসব জনপথ শেষে করে বাস থামল আলুটিলায়।

বাস থেকে নামতেই চোখে পড়ে বিশাল বটবৃক্ষের পাদদেশে লেখা, ‘আপনি কি একজন সাহসী অভিযাত্রী, তাহলে রহস্যময় সুড়ঙ্গে আপনাকে স্বাগতম’। সুড়ঙ্গে পথ চলার জন্য সঙ্গে নিতে হয় বাঁশের মশাল। ভিতরে ঢুকতেই শীতল জলের প্রলেপ, পাথুরের পথ বেয়ে জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে। মশালের আলোয় সুড়ঙ্গের ঘুটঘুটে অন্ধকার দূর করে সামনের দিকেই যেতেই মনে হল— প্রাগৈতিহাসিক সময়ে প্রাচীন পাথরে মোড়ানো গুহার কালো আবরণ। পাথুরে পিচ্ছিল পথের গুহাতে হাঁটতে বেশ সাবধান হতে হল। জল, পাথর আর অমৃসণ অন্ধকার সুড়ঙ্গে মশালের আলো হাতে পথ চলতে চলতে যেন সত্যিকারের অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পাওয়া যায়। হঠাৎ সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে দিনের আলো দেখে সবার মধ্যে কেমন জানি একটা উচ্ছ্বাসের প্রাণ। অন্ধকার পথ শেষ করে উপরে উঠতেই এক নজরে দেখে নিলাম গুহার প্রবেশ মুখ। আলুটিলা পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর দেখতে বেশ, মনে হয় কোনো পাখির চোখে পুরো শহরটাকে দেখছি। পাহাড়ের পাদদেশ বিস্তৃত, শহরে সীমানা পযর্ন্ত।


আলুটিলা পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর
দুপুরের আহার জন্য বেছে নিতে পারেন খাগড়াছড়ির নামকরা খাবার ঘর ‘সিস্টেম রেস্টুরেন্টে’। বাহারি আদিবাসী খাবার ভোজনের ষোলোয়ানা পূর্ণ করবে।

আহার পর্ব শেষ করে, বিকালের সোনালি আলোয় চাঁদের গাড়িতে যাত্রা শুরু রিছাং ঝরনার পথে। মূল সড়ক থেকে রিছাং ঝরনার দূরত্ব প্রায় ২.৫ কিলোমিটার। পথের পাশে সৌর্ন্দয্য প্রকৃতি যেন তার নিজের হাতে সৃষ্টি করেছেন। চেনা-অচেনা বুনোফুল, কাশবনের পথ পেরিয়ে চাঁদের গাড়ি থেকে নেমে এবার ঝরনার পথ। সিঁড়ি বেয়ে ঝরনার কাছে পৌঁছতেই চোখ আটকে গেল সবার। পাহাড়ের ওপর থেকে বয়ে আসা ঝরনার স্রোতধারা আবার দীর্ঘ ক্যাসকেড বেয়ে আছড়ে পড়ছে নিচের দিকে। রিছাং খুব বেশি বড় না হলেও ঝরনার নান্দনিক কাঠামো মুগ্ধ করে সবাইকে। রিছাং ঝরনা শীতল জলের পরশ গায়ে লাগিয়ে ফিরতে ফিরতে তখন দূর পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়েছে সুর্য। শেষ বিকেলের আলোয় পাহাড়ের বুকে ডুবন্ত রবির রঙিন দৃশ্যায়ন দেখতে দেখতে চাঁদের গাড়ির খোলা ছাদে বসে আবার ফিরছি লোকালয়ের পথে।


কুয়াশার চাদর, খাগড়াছড়ি
যেভাবে যাবেন প্রথমে যেতে হবে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে শান্তি পরিবহন, এস আলম, সৌদিয়াসহ বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে সরাসরি খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছানো যায়। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত বিভিন্ন পরিবহনের বাস খাগড়াছড়িতে যাতায়াত করে। আর রিজার্ভ গাড়ি নিয়েও সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়।

প্রয়োজনীয় তথ্যঃ মানুষ প্রকৃতির কাছে যাবে। তবে প্রকৃতি যাতে তার মতো করে সুন্দর থাকে সেই দায়িত্বটাও মানুষের হাতে। তাই আলুটিলা, রিছাংসহ পযর্টন স্পটগুলোতে কোনো প্রকার পলিথিন, পানির বোতল, প্যাকেট, ময়লা ইত্যাদি নিদিষ্ট স্থানে ফেলবেন। না হলে সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। খাগড়াছড়ি ভ্রমণে যে কোনো তথ্য এবং সহযোগিতার জন্য ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

একাদশ জাতীয় রোভার মুট-২০১৭ অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় যাচ্ছে বান্দরবান সরকারি কলেজ ইউনিট

 নিউজ ডেক্স:একাদশ
জাতীয় রোভার মুট-২০১৭, টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ এ অংশগ্রহণের জন্য বান্দরবান সরকারি কলেজ রোভার ইউনিট আজ রাতে রওনা দিবে, ৮ জন রোভার, একজন স্বেচ্ছাসেবক ও একজন রোভার লিডার সহ এই দলটি রোভার মুটের বিভিন্ন চেলেঞ্জ এর মোকাবেলা করবে। উল্লেখ্য যে, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধ নিবেদনের জন্য এবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলকে মূল এরিনা করে এ ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে,। আগামী ২৫-৩১ জানুয়ারি প্রায় ৬৫০০ রোভার ও কর্মকর্তার পদচারণায় মুখর থাকবে টুঙ্গিপাড়া-গোপালগঞ্জ। ২৬ জানুয়ারি প্রোগ্রামের উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।।

রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত


পাহাড়বার্তা:
  বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে শহরের রাজারমাঠ থেকে বের করা হয় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী।
এসময় র‌্যালীতে ব্যানার ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক ছাত্রসমাবেশ অনুষ্টিত হয় ।

বান্দরবানে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বান্দরবান শহরে শোভাযাত্রা।- ছবি-রাহুল বড়ুয়া ছোটন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগের সভাপতিত্বে ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো:শফিকুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সহ সভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর, মংক্যচিং চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাস, সদস্য ক্যসা প্রু মারমা, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মানস কুমার দাশ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, ৮নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান খোকন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন চৌধুরী বাবরসহ প্রমূখ।

বান্দরবানে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বান্দরবান শহরে শোভাযাত্রা।- ছবি-রাহুল বড়ুয়া ছোটন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আগামির সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এসময় বক্তারা ছাত্রলীগের আর্দশকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান। তারা আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে সকল কর্মকান্ড আরো সুদুর প্রসারী করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এসময় বক্তারা সুখী ,সুন্দর ও আদর্শ বাংলাদেশ নির্মাণে ছাত্রলীগের পতাকা তলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পড়ালেখার পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দেন। ছাত্রলীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পরে প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীর কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

আগামীকাল বান্দরবানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্র সমাবেশ ও র‍্যালী








সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি,উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে দেশরত্ন,জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরন্তর অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গৌরব,ঐতিহ্য,সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে নিয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দ র্যালী ও ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।২২শে জানুয়ারী দুপুর ২টা ৩০মিনিটে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাওসার সোহাগের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখবেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ক্যাশৈহ্লা মার্মা।বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক,পৌর মেয়র মোঃইসলাম বেবী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।এছাড়াও বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি আলহাজ্ব মোঃশফিকুর রহমান,সহসভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিম চৌধুরী,সহসভাপতি এ.কে.এম.জাহাঙ্গীর আলম,সহসভাপতি মং ক্যা চিং চৌধুরী,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ,সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যাসাপ্রু মার্মা,সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাশ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্র সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল ২২শে জানুয়ারীর ছাত্র সমাবেশে সকলকে উপস্থিত থাকার আহবান জানিয়েছেন।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানে শ্রেষ্ঠ ফ্রিল্যান্সারের পুরস্কার পেলেন আজিজনগরের সাইফুল


 নিউজ ডেক্স:ডিজিটাল  বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার।  তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশ ব্যাপি শুরু  হয়েছে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্প। Outsourcing & Freelancerer মাধ্যমে কিভাবে ঘরে বসে ইনকাম করা যায় তা শিক্ষিত বেকার যুবকদের মাঝে ছড়িয়া দেওয়া। ২০ জানুয়ারি বান্দরবানে  জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে  প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলা, সেমিনার ও মতবিনিময় সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদূর উশৈসিং এম পি,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন, ইউ.এন.এ সুজন চৌধুরী,  সহকারি পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা, সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এসময় স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও  সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ  উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই জনকে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়, তারা হলেন আজিজনগর সাংবাদিক ফোরামের সদস্য ও ইউনিয়ন  ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের হাতে  বান্দরবান জেলার শ্রেষ্ঠ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পুরষ্কার তুলে দেন মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর  উশৈসিং এমপি মহোদয় এবং শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার পান বান্দরবান অনলাইন স্কুল।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানে হতদরিদ্রদের অভাব ঘুচিয়েছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প


জেলা ২৪:বান্দরবানের দুর্গম অঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবারগুলোর অভাব ঘুচিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’। সেবামূল্যে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন ও নানা রকম শাক-সবজি আবাদ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আত্মনির্ভরশীল হওয়ায় তাদের মুখে এখন অনাবিল হাসি।
মা-এ-ম্যা মারমা। বান্দরবানের বাঘমারা পাড়াগ্রাম উন্নয়ন সমিতির ব্যবস্থাপক। ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পেঁপে চাষ চাষ করে হয়েছেন লাভবান।
শুধু মা-এ-ম্যাই নন। সেবা মূল্যের সুদে ঋণ নিয়ে তাঁত বুনন, হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল পালন কিংবা কলা, হলুদ, ভুট্টা, পেঁপেসহ শাক-সবজি চাষ করে এখন স্বচ্ছল অনেক পরিবার।
এই প্রকল্পের অধীনে জেলার সাতটি উপজেলায় ২৭৭টি সমিতির সদস্য ১৪ হাজার ৫৭৭ জন। তাদের চাহিদামতো এ পর্যন্ত ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অভাবগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশের হতদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে চালু করেন ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

বান্দরবানের প্রধান নৃ-গোষ্ঠী মারমাদের জীবনযাত্রা


বাংলাদেশের মারমাগণ একটি সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। প্রকৃতির লীলায় বেড়ে ওঠা মারমাগণ অরণ্যচারী। ‘প্রান্তীয় পরিস্থিতির কারণে তারা যেমন ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন তেমনি শিক্ষা, দীক্ষা ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষিতে পশ্চাৎপদ। তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত বারটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বর্মীভাষী মারমারা দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী’ (মুস্তফা মজিদ। মারমা জাতিসত্ত্বা, ২০০৪, ১ম ফ্লাপ)। ‘এদের মধ্যে ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠী ছাড়া বাকি এগারোটি জনজাতি আরাকানের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর অংশ’ (আবদুল হক চৌধুরী। পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা উপজাতি, উপজাতীয় গবেষণা পত্রিকা, ১৯৯৪, পৃ , ২৬)। মারমারাও তাই।
বান্দরবানের বোমাং চীফ পরিবারের দাবি, তারা পেগু রাজ্যের তেলেইং রাজকুমার মংশোয়েপ্রুর উত্তর পুরুষ। আর মারমা নৃগোষ্ঠী হচ্ছে তাদের অনুগামী তেলেইং জাতির লোকজন। বোমাং চীফ পরিবারের এ দাবি অনেকেই মানতে চাননা। আবদুল হক চৌধুরীর যুক্তি হলো- ‘বোমাং, মগ বা মারমাদের মাতৃভাষা হলো আরাকানি উপভাষা। তারা যদি তেলেইং নৃ গোষ্ঠীর বংশধর হয় তাহলে তাদের মধ্যে তেলেইং ভাষা অনুপস্থিত কেন’? (আবদুল হক চৌধুরী। প্রাগুক্ত)।
ত্রিপুরার মগ জনগোষ্ঠী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমারা ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও ‘নৃতাত্বিক ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে একই জাতিসত্ত্বার বিকাশের ধারায় প্রকাশিত, একই ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ, একই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরির্চচা, মিল- মিলন- সহবস্থানের যোগসুত্রে গাঁথা একই আলো, আবেগ, আবেদন; চিন্তা চেতনায় উদ্ভাসিত অভিন্ন এক জাতিসত্ত্বা’ (মংক্যা শোয়েনু নেভী। প্রসঙ্গ মারমা সমাজ ও সংস্কৃতি, সমুজ্জ্বল সুবাতাস, ২০০৮)।
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে আরাকানী ও বর্মী জনগণ মগ নামে অভিহিত হতো। এই নাম বা বিশেষণটি সুনাম - দূর্নাম উভয় বৈশিষ্টে মন্ডিত। ‘মগ শব্দের সাথে জলদস্যু পরিচয়ের যোগসুত্রের কারণে আজকাল বর্মী ও আরাকানী বংশোদ্ভুত লোকেরা এ নামে পরিচিত হতে কুণ্ঠাবোধ করে’ (চৌধুরী পূণ্যচন্দ্র দেববর্মা। চট্টগ্রামের ইতিহাস, ১৯২০, পৃ-১৬৭)।
চৌধুরী পূণ্যচন্দ্র দেববর্মা মারমাদের বিহার রাজবংশ উদ্ভুত বলে মনে করেন। মগধের কোন এক রাজবংশ ব্রাহ্মদেশে আধিপত্য বিস্তার করায় তাদের মগ নামে অভিহিত করা হয়। গ্রীয়ার্সনের ( ১৯০৯) মতে মগ শব্দটি ইন্দোচীন জনগোষ্ঠী থেকে গৃহীত। যদুনাথ সরকার তার হিস্ট্রি অব বেঙ্গল গ্রন্থে (পৃ-৩৮১) ফরাসী মুগ (অগ্নি উপাসক) শব্দ থেকে মগ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে উল্লেখ করেন।
‘মারমা শব্দটি মারমাজা বা ম্রাইমাজা নামের উপমহাদেশীয় প্রাচীন ব্রাহ্মী হস্তাক্ষর লিপি থেকে উদ্ভুত’ (বি. আর ফার্ণ। কিং বেরিং (অনুবাদ মোশতাক আহমদ), ঊর্মী, সম্পাদনা জাফার আহমাদ হানাফী, ১৯৯৬)। বি.আর. ফার্ণ (১৯৩৩) মনে করেন- মগ শব্দটি চট্টগ্রামের আরাকানি বাসিন্দাদের বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মি. এ.ই. চন্দ মগ শব্দটির বিষয়ে বি.আর. ফার্ণ কে জানান ”মগ শব্দটি নিঃসন্দেহে বাংলাভাষা থেকে আগত, কিন্তু শব্দটির প্রকৃত তাৎপর্য এবং মৌল উদ্ভব সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট নয়। ‘তবে জনশ্রুতি আছে প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি স্থলে যখন ব্রাহ্মণ্য ধর্র্মের উদ্ভব ঘটে তখন মগধ রাজপরিবারের একটি শাখা চট্টগ্রামে অভিবাসিত হয়। ফার্ণের ধারণা আরাকান রাজ পরিবার কোন না কোনভাবে বিহার রাজপরিবার সম্ভুত’ (অং সুই মারমা। মারমা ইতিহাসের উপর একটি অনুপঙ্খু আলোচনা, পইংজ্রা, বোমাং রাজ পূণ্যাহ স্মরনিকা, বান্দরবান, ১৯৯৪)।
বোমাং রাজা মং শৈ প্রু চৌধুরী ১৯৫০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সরকার প্রধানের প্রতি মারমাদের মগ আখ্যা দেয়া বিষয়ে আপত্তি জানান এবং ১৯৫১ সালের আদমশুমারীতে তাদের প্রকৃত জাতি পরিচয় মারমা তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ জানান। আতিকুর রহমানের মতে, বোমাং চীফ ১৯৬৪ সালে বান্দরবান মহকুমা প্রশাসকের কাছে এক চিঠিতে জানান- মগ নয় মারমা নামই তাদের কাছে অভিপ্রেত (আতিকুর রহমান। গবেষণাকর্ম: পার্বত্য চট্টগ্রাম, ২০০০, পৃ- ৩৮)।
মারমাদের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের পুরানো। তাদের প্রাচীন সভ্যতার নানান ইতিহাস ইতোমধ্যে আবিস্কৃত হয়েছে। ‘তাদের জাতিগত ঐতিহ্য ও কৃষ্টি যে একটি ধারাবাহিক পথ অতিক্রম করেছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা’ (মুস্তফা মজিদ। ২০০৪, প্রাগুক্ত)। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভিন্ন মাত্রার উপর প্রতিষ্ঠিত কিন্তু তাদের নিয়ে সুনির্দ্দিষ্ট কোন গবেষণা গ্রন্থ অদ্যাবধি প্রণীত হয়নি। ধারাবাহিক ও নির্ভরযোগ্য ইতিবৃত্ত আবিষ্কৃত না হওয়ায় তাদের সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া দুষ্কর। ব্রিটিশ আমলে কিছু সংখ্যক ইংরেজ ও স্থানীয় লেখক চাকমা, ম্রো ও ত্রিপুরার পাশাপাশি মারমাদের নিয়েও কিছু তথ্যনিষ্ঠ সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত রচনা করেছেন। এদের মধ্যে টি.এইচ.লুইন (১৮৭৯), আর. এস. এইচ হাসিনসন (১৯০৫) স্যার আর্থার প্রেইরি (১৯৩০), পিয়ের ব্যাসানেত (১৯৫৪), আবদুল হক চৌধুরী, আহমদ শরীফ, আবদুস সাত্তার, মাহবুবুল আলম।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান সমূহ


Posted by B.K

 ভ্রমন ২৪:বান্দরবান জেলার পর্যটন অঞ্চল/দর্শনীয় স্থান সমূহ :
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি এবং
কক্সবাজার থেকে বান্দরবান বাস
যোগাযোগ রয়েছে। বান্দরবান শহর
থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে
বালাঘাটায় রয়েছে বাংলাদেশের
সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দির। এটি
সম্পূর্ণরূপে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার
মন্দিরগুলোর অনুকরণে তৈরি করা
হয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয়
বৃহত্তম বৌদ্ধ মুর্তিটি এখানে রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে এটি হলো "বুদ্ধ ধাতু
জাদি"। এছাড়া শহরের মধ্যেই রয়েছে
জাদিপাড়ার রাজবিহার এবং
উজানীপাড়ার বিহার। শহর থেকে
চিম্বুকের পথে যেতে পড়বে বম ও ম্রো
উপজাতীয়দের গ্রাম। প্রান্তিক হ্রদ,
জীবননগর এবং কিয়াচলং হ্রদ আরও
কয়েকটি উল্লেখ্য পর্যটন স্থান। রয়েছে
মেঘলা সাফারী পার্ক, যেখানে
রয়েছে দুটি সম্পূর্ণ ঝুলন্ত সেতু। সাঙ্গু
নদীতে নৌকা ভ্রমণ, ভ্রমণ
পিয়াসীদের জন্য হতে পারে একটি
মনোহর অভিজ্ঞতা। বান্দরবান শহর
থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
শৈল প্রপাত একটি আকর্ষণীয় পাহাড়ি
ঝর্ণা।
এছাড়া বাংলাদেশের উচ্চতম
পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং এবং বৃহত্তম
পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং এই বান্দরবান
জেলাতেই অবস্থিত। মৌসুমগুলোতে এই
দুটি পর্বতশৃঙ্গে আরোহন করার জন্য
পর্যটকদের ভীড় জমে উঠে। পর্যটকরা
সাধারণত বগা লেক থেকে হেঁটে
কেওক্রাডং এ যান। অনেকেই আছেন
যারা কেওক্রাডং না গিয়ে বগা লেক
থেকে ফিরে আসেন। এই হ্রদটিও
বিশেষ দর্শনীয় স্থান। হ্রদসন্নিহিত
এলাকায় বম উপজাতিদের বাস। এছাড়া
অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে আছে:
চিম্বুক পাহাড়
পুরো বান্দারবান জেলাই প্রাকৃতিক
দৃশ্যে ভরপুর।বান্দরবান থেকে পুরো
রাস্তা আকাবাঁকা উচুনিচু। চিম্বুকে
যাওয়ার পথের পাশে রয়েছে অসংখ্য
উপজাতির আবাসস্থল। ঘরগুলো মাচার
মতো উঁচু করে তৈরি। চিম্বুকের চূড়া
থেকে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই
শুধু পাহাড় আর পাহাড়। সবুজ-শ্যামল
পাহাড়ের দৃশ্য চোখ জুড়ানোর অবস্থা।
পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে প্রবাহমান
সাংগু নদী যা আপনাকে নিয়ে যাবে
অনেক দূরে। স্থানীয় উপজাতীদের
সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়,
চিম্বুকের চূড়ায় দাঁড়িয়ে অনেক সময়
মেঘও ধরা যায়।
ঢাকা থেকে বাস/ট্রেন/বিমানযোগে
চট্রগ্রাম এসে সেখান থেকে বাসে
বান্দরবান যাওয়া যায়। বান্দারবান
থেকে চিম্বুকে যেতে হবে জিপ
গাড়িতে। যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয়
চান্দের গাড়ি। চান্দের গাড়িতে
গেলে নামতে হবে বুলি বাজারে।
ভাড়া করা জিপ নিয়ে সরাসরি চূড়ায়
যাওয়া যায়। নিজস্ব জিপ নিয়েও
যাওয়া যায়। বান্দরবান জেলা সদর
থেকে ৩৬৪ টি ছোট-বড় মোড় অতিক্রম
করে ২৬ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুকে যেতে
হবে।
বান্দারবানে থাকার জন্য রয়েছে
নানা রকম আবাসিক হোটেল। এছাড়া
সরকারী রেস্টহাউসসহ জেলা পরিষদ,
সড়ক ও জনপথ, বন বিভাগ, এলজিইডি ও
পার্বত্য জেলা পরিষদের রেস্টহাউসও
রয়েছে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা
থেকে ৪.২ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুক
সড়কের মিলনছড়িতে রয়েছে দি গাইড
টু্রস লিঃ এর হিল সাইড রিসোর্ট।
এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ
কয়েকটি মনোরম কটেজ ঘর ও ডরমিটরি।
কটেজগুলোর একক ভাড়া ৭৫০ টাকা
দুজন ১০০০ টাকা। পুরো কটেজ ভাড়া
নেওয়া যায়। বোম ঘরের ভাড়া একক
৪৫০ টাকা, দুজন ৭০০ টাকা, মারমা
ঘরের ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা,
দুজনের ৪০০ টাকা, ডরমিটরির ভাড়া
প্রতি বেড ১৫০ টাকা । বেশি বেড
নিলে ভাড়া কম।
নীলগিরি
Image
নীলগিরি : বান্দরবান জেলা সদর
থেকে প্রায় ৪৭ কিলোইমটার দক্ষিণ
পূর্ব দিকে বান্দরবান-থানছি সড়কে
পাহাড় চূড়ায় নীলগিরি পর্যটন কেন্দ
অবস্থিত। যে কোনো গাড়িতে চড়ে
সরাসরি নীলগিরিতে যাওয়া যায়।
সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ২ হাজার ২
শত ফুট। একানকার প্রকৃতির কারুকাজ
সবাইকে মুগ্ণ করে । এই রোদ, এই বৃষ্টি,
আকাশে মেঘের গর্জন সেই সাথে
রংধনুর হাসিমাখা আলোএক রুশ্মি,
বাতাসের সাথে ছন্দ আর তাল মিলিয়ে
প্রকৃতির বৈবিত্র্যময় এই পরিবর্তনের
এই পরিবর্তনের দৃশ্যগুলো পর্যটকদের
আকৃষ্ট করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭
ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন
কর্তৃক চিম্বুক-থানচি সড়কটি
নির্মাণের সময় ম্রো জনগোষ্ঠী
অধ্যুষিত বান্দরবান থানিছ সড়কের
কাপ্রু পাড়া এলাকায় প্রথমে
নিরাপত্তা চৌকি হিসেবে এটি
নিমিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্থ
কর্মকর্তাএদর পরিকল্পনায় এটি একটি
পর্যটন কেন্দ্রের পূর্ণতা লাভ করে।
এখানে মেঘদূত, আকাশনীলা,
নীলাঙ্গনা, মারমা হাউজসহ নানা
নামের আকর্ষীয় কটেজ রয়েছে। আছে
একটি ক্যাফেটেরিয়া। বর্তমানে
দেশি বিদেশি পর্যটকরা প্রতিদিনই
নীলগিরি ভ্রমণে আসছেন।
দিনের বেলায় এই স্থান থেকে খালি
চোখে বঙ্গোপসাগর ও জাহাজ
চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া
ছোট ছোট পাহাড়ের কোল ঘেয়ে
বয়ে যাওয়া সাঙ্গু নদীর আকাবাকা
দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সকলকে আকর্ষণ রে।
আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই
নীলিগিরি রিসোর্টে অবস্থান ও
রাত্রিযাপনের জন্য সেনাবাহিনীর
বান্দরবান ব্রিগেড হেডকোয়াটার এর
সাথে আগাম যোগাযোগ করতে হয়।
প্রকৃতির অপরুপ মনমুগ্ধকর নয়নাভিরাম
এই দৃশ্যগুলি পর্যটকদের স্মৃতিতে ধরে
রাখার জন্য রয়েছে বিভিন্ন স্পট।

এক নজরে বান্দরবান জেলা


Posted by B.K

দেশ বাংলাদেশ
বিভাগ চট্টগ্রাম বিভাগ
আয়তন
 • মোট ৪৪৭৯ কিমি২ (১৭২৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011)[১]
 • মোট ৪,০৪,০৯৩
 • ঘনত্ব ৯০/কিমি২ (২৩০/বর্গমাইল)
স্বাক্ষরতার হার
 • মোট ৩৯.৫%
সময় অঞ্চল বিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইট জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট

বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্তর্গত। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান জেলার দূরত্ব ৭৫কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার।[২] বান্দরবান সদর মারমা রাজা অংশুপ্রু-এর বাসভূমি। এই অঞ্চলের অন্য দুইটি জেলা হল রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি। বান্দরবান জেলা এর নৈসর্গিক বৈচিত্র্যের জন্য বাংলাদেশের একটি গুরূত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

সবুজ আর পাহাড়ের অনন্য রূপ মিলেমিশে রয়েছে বান্দরবানে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ ছুটে যায় প্রতিবছর। উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, মেঘলা, শৈল প্রপাত, নীলাচল, মিলনছড়ি, চিম্বুকসহ বেশ কয়েকটি জায়গা। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কি.মি. দক্ষিণ পূর্ব দিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট ওপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান। যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসেবে অবহিত করা যায়। নীলগিরি যেতে হলে আগে থেকে ল্যান্ডক্রুজার জিপ ভাড়া করতে হবে। এ ছাড়া রয়েছে স্বর্ণমন্দির। বর্তমানে স্বর্ণমন্দির উপাসনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে পরিগণিত হয়। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই 'বৌদ্ধ ধাতু জাদী'কে স্বর্ণমন্দির নামকরণ করা হয়। এটির নির্মাণশৈলী মিয়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পলগুলোর আদলে তৈরি করা হয়। তারপর যেতে পারেন মেঘলা। বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৭ কি.মি. আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড়বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। শৈল প্রপাত। শৈল প্রপাত বান্দরবান শহর হতে ৭ কি.মি. দক্ষিণ পূর্বে চিম্বুক বা নীলগিরি যাওয়ার পথে দেখা যাবে। পাহাড়ের চূড়া থেকে চারদিকের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য অবগাহন এখানে প্রকৃতিপ্রেমীদের টেনে আনে। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান। এতে খরচ পড়বে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। তাপর চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান।

বান্দরবানে পর্যটন করপোরেশনের একটি হোটেল আছে মেঘলাতে। যার ভাড়া রুম প্রতি ৭৫০ হতে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। হোটেলগুলোতে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা আছে। বান্দরবানে সব হোটেলে খাবারের মানের চেয়ে দামটা বেশি।






বান্দরবান সরকারি কলেজে বীর বাহাদুর এম. পির পক্ষ থেকে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ


বি.কে বিচিত্র, নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান: :বান্দরবান সরকারি কলেজ হল রুমে ১৮ই জানুয়ারি ,  সন্ধ্যায় এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলেজ  ছাত্রলীগের আয়োজনে বীর বাহাদুর এম পির পক্ষ থেকে  ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও মেধাবী, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা  ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু,  যুগ্ন আহবায়ক শিবলু, কলেজ কমিটির সদস্য রাজু, সুরিত,নাজমুল, নারায়ণ, সুজন, রাজ, শুভ, বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাসের সভাপতি রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শামীম।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক টিপু দাশ, সভাপতিত্ব করেন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজমুল হোসেন বাবলু। এসময় প্রধান অতিথি বলেন , ছাত্রলীগ হল বাংলাদেশের প্রাচীন সংগঠন। বিভিন্ন আন্দোলনে  যাদের অংশগ্রহণ ছিল অপ্রতিরোধ্য। ছাত্ররাই পারে দেশকে এগিয়ে নিতে, ক্ষুধা, দ্রারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে। ছাত্রলীগ মনে ধারণ করতে হবে।উপরে ছাত্রলীগ করলে হবে না।  এসময় ইউনিউটের সকল সদস্য ও ছাত্র-ছাত্রিরা উপস্থিত ছিলেন।




সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭

নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের সেই গোপন ভিডিও







জাতীয় মেইল:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আগে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হয়।

ভারতীয় সীমান্তবর্তী একটি বিএসএফ ক্যাম্পে তাকে জেরা করেন বাংলাদেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এ সময় নূর হোসেন সাত খুনের আদ্যোপান্ত খুলে বলেন। নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পুরো বিষয়টি ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।

আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে ভিডিওর একটি কপি যুগান্তরের হাতে এসে পৌঁছেছে।

ভিডিওতে নূর হোসেনকে একজন কর্মকর্তা প্রশ্ন করেন, র‌্যাব কী ইন্টারেস্টে সাতজন মানুষকে মেরে ফেলল?

উত্তরে নূর হোসেন জানান, তিনি শুধু প্যানেল মেয়র নজরুলকে মারার জন্য র‌্যাবের সঙ্গে কন্টাক্ট করেছিলেন। তবে মেজর আরিফও নজরুলকে সরিয়ে দেয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। কারণ মেজর আরিফের সঙ্গে নজরুলের জমি দখলের দ্বন্দ্ব ছিল।

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নূর হোসেন বলেন, ঘটনার পর সবাই বলল র‌্যাব আমাকে পেলেই মেরে ফেলবে। তাই প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে আসি।

নিজের উত্থান ও সিদ্ধিরগঞ্জে নিজের মাদক সাম্রাজ্য নিয়ে নূর হোসেন বলেন, 'আমি মূলত বাসের হেলপার ছিলাম। অনেক কষ্ট কইরা এই জায়গায় আইছি। ১৮ বছর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আমার লোকজন তো থাকবই।'

এ সময় নূর হোসেন দাবি করেন, মাদক সাম্রাজ্য থেকে তার প্রতিদিন যে আয় হতো তার একটি বড় অংক পেত পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব ও স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমকর্মী। যারা টাকা নিতেন তারা সবাই নূর হোসেনের কথামতো কাজ করতেন।

বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল মতিন নূর হোসেনের কথায় ওঠাবসা করতেন বলে দাবি করেন নূর হোসেন।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নূর হোসেন জানান, তার কাছে সার্বক্ষণিক ১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র থাকতো। এর মধ্যে ১৪টির লাইসেন্স ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাকে একাধিকবার খুনেরও পরিকল্পনা করা হয়।

'কিন্তু আমারে মারতে কোনো কিলার রাজি হয় নাই' বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যানেরও ব্যাপক দ্বন্দ্ব ছিল বলে দাবি করেন নূর হোসেন।

তিনি বলেন, 'আমার কাছে লিখিত এভিডেন্স (প্রমাণ) আছে, যেখানে প্রকাশ্যে শহীদ চেয়ারম্যান বলেছেন- নজরুলকে তিনি পিটিয়ে মেরে ফেলবেন।'

নূর হোসেন আরও বলেন, ভারতের কারাগারে থাকার সময় বাংলাদেশ থেকে তার লোকজন নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো। ভারতের কারাগারে তিনি ভালোই ছিলেন। এ কারণে তিনি দেশে ফিরতে রাজি ছিলেন না।

দীর্ঘ ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নো ম্যানস ল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ, তদন্তকারী কর্মকর্তা, নারাণগঞ্জ জেলা ডিবির সদস্য, বিজিবি ও র‌্যাবের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল।

নো ম্যানস ল্যান্ডে নূর হোসনেকে  নিয়ে আসা হলে তাকে রিসিভ করা জন্য এগিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু বিএসএফ পুলিশের হাতে নূর হোসেনকে হস্তান্তরে অস্বীকার করে।

এ সময় একজন পদস্থ বিএসএফ কর্মকর্তা জানতে চান, এখানে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান উপস্থিত আছেন কিনা? কারণ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য কারও কাছে নূর হোসেনকে যেন হস্তান্তর করা না হয়।

পরে জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে র‌্যাবের পরিচালক (অপস) আবুল কালাম আজাদসহ তিনজন র‌্যাব কর্মকর্তা নূর হোসেনকে গ্রহণ করেন।

শেষ রাতের দিকে নূর হোসেনের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর তাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে ঢাকার পথে রওনা দেয় র‌্যাব।



4.26K 0 0 0

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

যে দেশের রাজধানী নেই!







বিদেশ মেইল:পৃথিবীর সব দেশেরই একটি করে রাজধানী থাকে। যেখান থেকে দেশটির প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।


কিন্তু একমাত্র এই দেশটিতে নেই কোন রাজধানী!
দেশটির নাম নাউরু। আরেক নাম প্লিজ্যান্ট আইল্যান্ড। নামেই পরিচয়। চোখজুড়ানো নৈসর্গিক দৃশ্য। পৃথিবীর একমাত্র দেশ এটাই, যার কোন সরকারি রাজধানী নেই। আয়তনের বিচারে পৃথিবীর তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। জনসংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম।
২১ বর্গ কিলোমিটার দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়াতে অবস্থিত। দেশটিতে সর্বসাকুল্যে ১০ হাজার পরিবারের বসবাস। এই দেশটির নিজস্ব কোন সেনাবাহিনীও নেই। প্রতিরক্ষার জন্য নাউরু, অস্ট্রেলিয়ার উপর নির্ভরশীল।

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭

বয়স হলেও বিয়ে হয়নি ৫২ লাখ সৌদি নারী-পুরুষের






বিদেশ মেইল:
সৌদি আরবে বিয়ের বয়স শেষ হওয়ার পরেও অবিবাহিত রয়ে গেছেন ৫২ লাখ ২৬ হাজারের বেশ নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ প্রায় ৩০ লাখ এবং নারী ২২ লাখ ৬১ হাজার।
২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সাধারণ পরিসংখ্যা কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ জনসমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশটির মোট জনসংখ্যা তিন কোটি আট লাখের বেশি।
ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি আরবের এক হাজার ২২৫ জন নাগরিকের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এঁদের মধ্যে ৮০৫ জন পুরুষ ও ৫২০ জন নারী ছিলেন। এতে দেখা যাচ্ছে, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ লাখ এক হাজার ২৬৪ জন পুরুষ ও ২২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৬ জন নারী অবিবাহিত রয়েছেন।
সমীক্ষা বলা হয়েছে, ৩৯ দশমিক ৯ বছর পেরিয়ে গেলে পুরুষদের এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৬ দশমিক ৪ বছর পেরোলে আর বিয়ে হয় না।
আল-ওয়াতান নামের একটি সৌদি দৈনিককে এক সৌদি নারী বলেন, তাঁর দেশের বেশির ভাগ পরিবার মাধ্যমিক শিক্ষার পরপরই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী আরো বলেন, ‘স্নাতক শেষ করার আমি বিয়ে করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বয়স যখন ১৯ ছিল, একজন ভদ্রমহিলা আমার বাবা-মার ফোন নম্বর নিয়েছিলেন, বিয়ের প্রস্তাবের ব্যাপারে কথা বলতে।’
ওই দৈনিকটিকে ৩৭ বছর বয়সী এক সৌদি পুরুষ বলেন, ‘উপযুক্ত কনে খোঁজার আমি বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু বয়সের পার্থক্যের কারণে সব নারীই আমায় প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাকের বারবার জিজ্ঞাস করা হয়, কেন আমি এখনো বিয়ে করিনি।’
দেশটির মাজমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমাইদি আল-ধাইদান সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রত্যেকেই একজন সুন্দর জীবনসঙ্গী চান। তাঁরা ভাবেন, নিজেদের স্বপ্নের বর-কনে তাঁরা পেয়ে যাবেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি তথ্য বিপ্লব ঘটে যাওয়ার কারণে তাঁদের বেশির সেখানে যুক্ত থাকছেন।’

রাশিয়ার হাতে সেক্স ভিডিও, বেকায়দায় ট্রাম্প!




আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অপ্রত্যাশিতভাবে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‌পোড় খাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বীকে মাত করলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে খুব একটা শান্তিতে থাকবেন না তা টের পাওয়া যাচ্ছে তার শপথ গ্রহণের আগেই। বিবিসির খবর সত্যি হলে, রাশিয়ার হাতে রয়েছে হবু মার্কিন রাষ্ট্রপতির সেক্স ভিডিও! তাও আবার একটা নয়; একাধিক!

বিবিসি-র ওয়াশিংটন ডিসি-র প্রতিবেদক পল উড জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান সিআইএ সূত্রের খবর, রাশিয়ার হাতে রয়েছে ডোনাল্ট ট্রাম্পের একাধিক সেক্স ভিডিও, যাতে গণিকাদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পকে।

উডের সূত্র বলছে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হলেও অভিযোগ যে গুরুতর তা মেনে নিয়েছেন গোয়েন্দারা।

পেশায় শিল্পপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‌মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ যদিও নতুন নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক ভিডিও-তে ট্রাম্পকে একাধিক স্বল্পবসনা তরুণীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও-তে মহিলাদের আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করতে দেখা গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।



বিবিসির ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, একাধিক সূত্র থেকে মেলা খবরের ভিত্তিতে তিনি নিশ্চিত যে, ট্রাম্পের সেক্স ভিডিও রয়েছে মস্কো ও পিটার্সবার্গের হাতে। শুধু ভিডিও নয়, তাতে রয়েছে অডিও-ও। এই ভিডিও দিয়ে ভবিষ্যতে রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে বলেও মনে করছেন ওই সাংবাদিক।

সম্প্রতি জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী কী ভিডিও ও নথি ব্যবহার করে রাশিয়া তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে তা একটি ৩৫ পাতার নথি পেশ করে জানিয়েছেন প্রাক্তন এক এমআই৬ এজেন্ট। যদিও বুধবার নির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন ট্র‍্যাম্প।

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭

ওয়াসিম আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা





 বিদেশ মেইল ২৪:ওয়াসিম
আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন করাচির স্থানীয় আদালত। একটি মামলার বাদী হিসেবে ৩১টি শুনানিতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করলেন আদালত। অবশ্য এটি জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও পেস বোলার ওয়াসিম আকরাম গত বছর আদালতে একটি মামলা করেন। করাচির রাস্তায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার গাড়ি আকরামের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে দু’জনের মধ্যে তখন বেশ বচসা হয়। একপর্যায়ে সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা পিস্তল বের করে আকরামকে গুলি করার হুমকি দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে করাচির আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেন আকরাম। অবশ্য পরে আকরামকে চিনতে পেরে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। এতে বাদী আকরাম কিংবা বিবাদী ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তার কেউ আদালতের শুনানিতে হাজির হননি। কিন্তু আইন চলে তার নিজের গতিতে। বিষয়টি দুই পক্ষ সমঝোতা করলেও আদালতকে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ওয়াসিম আকরামকে আদালতের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য বারবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি এ ব্যাপারে পুলশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

সালমান -লুলিয়ার নতুন খবর!







 বিনোদন মেইল২৪:
সালমান খানের সঙ্গে এখন সম্পর্কে আছেন লুলিয়া ভান্তুর। শোনা যায় তেমনই।


সলমান বা লুলিয়া অবশ্য কখনই সেকথা স্বীকার করেননি। কিন্তু সম্প্রতি কপিল শর্মার শোয়ে এসে ইউলিয়া এমন একটি কথা বললেন, যাতে আভাস পাওয়া যায় তাঁর মনে এখন কেউ আছেন। তিনি কি সালমান? সেকথা অবশ্য বলেননি লুলিয়া। শুধু বলেছেন, আমার মন অন্য কারোর কাছে আছে।
হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে কপিল শর্মার শোয়ে এসেছিলেন লুলিয়া ভান্তুর। তাঁদের নতুন অ্যালবাম আপ কি মসিকির প্রচারে এসেছিলেন তাঁরা। সেখানে দর্শকের মধ্যে থেকে এক মহিলা ইউলিয়াকে জিজ্ঞাসা করেন, ইউলিয়া কি তাঁর ছেলেকে বিয়ে করবেন? তার উত্তরেই ইউলিয়া বলেন, তাঁর মন এখন অন্য কারোর সম্পত্তি।

সালমান খান এখনও মোস্ট এলিজেবেল ব্যাচেলার। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তিনি এবার বিয়ে করতে চলেছেন। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেছে। নিকাহ করেননি সাল্লু মিঞা। গত বছর লুলিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা সামনে আসে। শোনা যায়, নভেম্বরে নাকি তাঁরা বিয়ে করার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু নভেম্বর চলে যায়। বছরও শেষ হয়ে যায়। বিয়ে তো দূরের কথা, এখনও সম্পর্কের কথাই প্রকাশ্যে আনেননি সালমান

অভিনেতা কল্যাণ কারাগারে


অপরাধ ডেক্স:গাড়ির ধাক্কায় আলোকচিত্রী জিয়া ইসলাম আহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিনেতা কল‌্যাণ কোরাইয়ার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সেই সঙ্গে কল‌্যাণকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন নাকচ করে আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে তিন দিনের মধ‌্যে কারা ফটকে গিয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।

বুধবার রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির সামনে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোটর সাইকেলে থাকা জিয়া আহত হন। মধ‌্যরাতে জিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কল‌্যাণও সেখানে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার সন্ধ‌্যায় এই অভিনেতা ফেইসবুকে ‘আই এম ইননোসেন্ট’ লিখে স্ট‌্যাটাস দিলে তা অনেকের নজরে পড়ে। পুলিশও জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য তাকে থানায় ডেকে নেয়।

এরই মধ‌্যে প্রথম আলোর নিরাপত্তা ব‌্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাজ্জাদুল কবির কলাবাগান থানায় একটি মামলা করেন। পরে থানায় উপস্থিত কল‌্যাণ কোরাইয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।

মামলার এজাহারে বলা হয়, “জিয়াকে ধাক্কা দেওয়ার পরে গাড়িটি লাইট বন্ধ করে কিছুক্ষণ থেমে ছিল। পরে এটি চলে যায়। জিয়াকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানোর পর কল‌্যাণ রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, তার গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তারপর লাপাত্তা হয়ে যান তিনি।”

বুধবার কল্যাণকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান কলাবাগান থানার এসআই ফারুক খান। অন‌্যদিকে এর বিরোধিতা করে কল্যাণের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক মিয়া।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, কল‌্যাণের গাড়ি ফার্মগেইটে ট্রাকের ধাক্কা খেয়েছিল, পান্থপথে কোনো দুর্ঘটনায় পড়েনি। ওই ঘটনায় তার গাড়িতে থাকা এক বন্ধু আহত হন। তাকে নিয়েই ঢাকা মেডিকেলে গিয়েছিলেন কল‌্যাণ।


মামলার সবগুলো ধারাই যেহেতু জামিনের যোগ্য সুতরাং কল‌্যাণ জামিন পেতে পারেন বলে আদালাতের কাছে আর্জি জানান তার আইনজীবীরা।
অন‌্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আশরাফ-উল আলম শুনানিতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর দায়ের করা মামলার নজির টেনে জামিনের বিরোধিতা করেন।

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বলেন, কল‌্যাণ হাসপাতালে থাকা তার বন্ধুর কাছে যাওয়ার ‘রেফারেন্স’ দিতে পারেননি। এ বিষয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

শুনানি শেষে দুটি আবেদনই নাকচ হয়ে যায় এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

জিয়াকে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল থেকে অ‌্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার ডান পা ভেঙে গেছে। বুকে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি।


অ্যাপোলো হাসপাতালে জিয়ার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদেরর বাড়ি থেকে যুবক আটক





আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি থেকে এক কেজি আঙ্গুরসহ মো. দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে। মঙ্গলবার রাত ৪টার সময় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর গ্রামে মন্ত্রীর নিজ বাড়ি থেকে ওই যুবককে আটক করে বাড়ির গার্ড পুলিশ। আটককৃত মো. দেলোয়ার হোসেন দাগনভুঞা উপজেলার দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে।
আটককৃত দেলোয়ার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, রাত ৩টার দিকে দাগনভুঁইয়া বাজারে এক যুবক ১ কেজি আঙ্গুর ফল ক্রয় করে তাকে এক শত টাকা ভাড়া দিয়ে বলে এ আঙ্গুরগুলি তুমি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিবে। দেলোয়ার এক কেজি আঙ্গুর ফল নিয়ে রাত ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককের বাড়িতে পৌঁছলে ওই বাড়ি থাকা গার্ড পুলিশ ফলসহ তাকে আটক করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানান, আটককৃত দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে বুধবার সকালে দাগনভুঁইয়া উপজেলায় গিয়েছিলাম। সে যে দোকান থেকে আঙ্গুর খরিদ করা হয়েছে ওই দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আঙ্গুর ক্রেতাকে তারা মুখ চেনা বলে জানান। সে ফেনীর মহিপাল এলাকায় অবস্থান করে। আপাতত থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আঙ্গুর ফল ক্রেতাকে গ্রেফতার করে পরবর্তীতে মামলা নেয়া হবে। আঙ্গুরগুলি থানায় রয়েছে। এগুলো পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হবে।

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৭

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস




 জাতীয় ডেক্স:আজ

১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলা-দেশের মাটিতে পা রাখেন।

জীবন-মৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় পার হয়ে সারা জীবনের স্বপ্ন, সাধনা ও নেতৃত্বের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মহান এ নেতার প্রত্যাবর্তনে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়। জাতির পিতা তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন 'অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা।'

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন 'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণার পর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। 'অপারেশন সার্চলাইট' নামের এ অভিযানের শুরুতেই পাক হানাদাররা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমণ্ডির বাসা থেকে বন্দী করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের আগ মুহূর্তে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু।

গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করা হলেও তাঁর অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নামেই চলে মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালি যখন প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সেলের পাশে তাঁর জন্য কবর পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছিল।

বাঙালি জাতির মহান এক বিজয়ের ফলেই বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ফিরে আসেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উত্সবের আমেজ। গোটা বাঙালি জাতি রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিল কখন তাঁদের প্রিয় নেতা, স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি স্বাধীন দেশের মাটিতে আসবেন। পুরো দেশের মানুষই যেন জড়ো হয়েছিল ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। বিমানবন্দর থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত রাস্তা ছিল লোকে লোকারণ্য। অবশেষে বন্দীর নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিজয়ের বেশে নামলেন বিমান থেকে।

স্বাধীন প্রিয় বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। দীর্ঘ ৯ মাস পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যার সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা দেন, 'রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙালি জাতির এই ভালবাসার ঋণ শোধ করে যাব।' কথা রেখেছেন জাতির পিতা। হিংস পাক হানাদাররা যাঁর গায়ে আঁচড় দেয়ারও সাহস দেখাতে পারেনি, স্বাধীন দেশে বাঙালি নামক একশ্রেণীর কুলাঙ্গার-বিশ্বাসঘাতকের হাতে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর কথা রেখে গেছেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। জেল-জুলুম এমনকি ফাঁসির মঞ্চ উপেক্ষা করে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। তত্কালীন শাসকগোষ্ঠী তাঁকে পাকিস্তান কারাগারে আটকে রাখে। অমানবিক নির্যাতন করে প্রহসনমূলক বিচারে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় ও বিশ্বজনমতের চাপে পাকিস্তান সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধু দেশসমূহ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। তাঁর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অল্পদিনেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ দৃঢ় অবস্থান তৈরি করে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে দেশে আজ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত।

একজন অদম্য আইটি কর্ণধারের সফলতার গল্প



নিউজ ডেক্স:ফেল
! চাকরির জন্য পরিক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ হয়েছি আমি!  চীনে যখন কেএফসি আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করে৷ এর মধ্যে ২৩ জনের চাকরি হয়৷ শুধুমাত্র একজন বাদ পড়ে, আর সেই ব্যক্তিটি আমি! এমনও দেখা গেছে চাকরির জন্য পাঁচ জন আবেদন করেছে তন্মধ্যে চার জনের চাকরি হয়েছে বাদ পড়েছি শুধুই আমি! প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে ১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি!



এতক্ষণ যার কথা বলেছি তিনি হলেন পৃথিবীর অন্যতম বড় অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক মা৷ তার জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে৷ফোবর্স ম্যাগাজিনের হিসেবে জ্যাক মা পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যাক্তি৷তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার৷ জ্যাক মার জীবনে এতবার ব্যার্থ হওয়ার পরও বড় হওয়ার, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশা থেকে বিন্দু মাত্র পিছপা হন নি৷ অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে তিনি আজকের অবস্থানে এসেছেন৷ যেই জ্যাক মা চাকরির জন্য ৩০ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন সেই জ্যাক মার প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে!


জ্যাক মা যখন আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন তখন সবাই তাকে পাগল বলত৷ টাইম ম্যাগাজিনে জ্যাকমাকে পাগল জ্যাক বলে অভিহিত করেছিল৷ কিন্তু জ্যাক মা আশাহত হননি৷ তিনি চলেছেন আপন গতিতেই৷ আমাদের মত যুবকদের সামনে রয়েছে অফুরন্ত সময়৷
আর সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে আমরাও হতে পারি পৃথিবী বাসির কাছে অনুসরণীয় ব্যাক্তি৷ নিজেকে উদাহরণের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি৷


পরিশেষে জ্যাক মার একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই৷
তিনি বলেছিলেন….
“যে যার জন্য পাগল হয়, সে তাকেই পাই,
আমাদের মনে হয় পাগল হওয়া ই ভাল৷ পাগল কিন্তু নির্বোধ নয়”
জ্যাক মা:…………






লোহাগাড়ার প্রকৃতি কবি নাছির উদ্দিন'র কবিতা "জোড় পুকুরের ঘাট


সাহিত্য ও সংস্কৃতি  ডেক্স:
Posted by B.K

# জোড় পুকুরের ঘাট #
নাছির উদদীন পুটিবিলা
----------------------------
পল্লী আমার মায়ের মত
নিত্য টানে বুকে/
তার বিহনে এক পলক ও
যায়না থাকা সুখে।

সারি সারি বৃক্ষরাজি
চোখ জুড়ানো রূপ/
হিমেল হাওয়া গাছের ছায়া
নেই কোলাহল চুপ।

গ্রীষ্ম কালের দুপুর যখন
প্রখর রোদের তাপ/
গাছের পাতা ঘুম পাড়ি দেয়
ছায়ায় মায়ার হাত।

বিকেল সাজে সপ্ত কিরণ
পল্লী বধূর সাজে/
সূর্য ডুবে ঘোমটা পরে
লজ্জাবতীর লাজে।

পল্লী আমার মায়ের মত
স্নেহ ছায়ার হাত/
স্মৃতির ভাজে জড়িয়ে আছে
জোট পুকুরের ঘাট।।

রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৭

কোটি ভক্তের হৃদয় ভেঙ্গে অবসরে যাচ্ছেন মাশরাফি





  স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশে ভালো পেস বোলারের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশে মোহাম্মদ রফিকের মত আন্তর্জাতিক মানের স্পিনার থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোন পেস বোলার ছিল না। মাশরাফি বাংলাদেশের সেই শূন্যস্থান পূরণ করেন।বাংলাদেশ ক্রিকেটের মাশরাফি এক আবেগ ভালোবাসার নাম।যার ব্যাট বোলিং এর পাশাপাশি রয়েছে অধিনায়কত্বের সফল উদাহরণ।২০০১ সালে ৮ই নভেম্বর মাশরাফির অভিষেক ঘটে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে।মজার ব্যপার হলো এই জিম্বাবুয়ের সাথেই ২০০৬ সালে ২৮ নভেম্বর টি-২০তে অভিষেক ঘটে মাশরাফি বিন মর্তুজার। তার দীর্ঘ পথ চলায় একের পর এক ইনজুরিতে টেস্ট ম্যাচ থেকে দূরে থাকেন।

বলা চলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় দুঃসংবাদ। টি টুয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছে ওয়ানডে ও টি-২০ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দেশে ফিরেই এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন

শুধু একদিনের ম্যাচ এবং টি২০ ফরম্যাটেই তাকে বার বার দেখতে পাওয়া যায় অধিনায়কত্ব করতে।কিন্তু এখন থেকে টি২০ থেকে অবসর নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা।

আজ নিউজিল্যান্ডের সাথেই ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচ।তবু শেষ ম্যাচটা পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি।আজ (রবিবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১৮তম ওভারে নিজের বলে আঘাত পান মাশরাফি। কোরি অ্যান্ডারসনের বল থামাতে গেলে বল তার ডানহাতে লেগে লংঅফে চলে যায়। স্কাই স্পোর্টস টিভির রিপ্লেতে দেখা যায় ওই সময় ডান হাত ধরে ব্যথায় কুকড়ে ওঠে মাশরাফির চোখমুখ। মাশরাফির মনে হচ্ছিল তার ডান হাত ছিঁড়ে যাচ্ছে।

এরপর আবার দেখা যায় ওই অবস্থাতেই মাশরাফি পরের বল করার জন্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পারেননি। ফিজিও ডিন কনওয়ে ছুটে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। কিন্তু ওই প্রাথমিক চিকিৎসায় তার হাতের ব্যথা আরও বেড়ে গেলে মাঠের বাইরে চলে যান বাংলাদেশ কাপ্তান। এর পরপরই তাকে এমআরআই’র জন্য তারঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমআরআই রিপোর্টে মাশরাফির ডানহাতের বুড়ো আঙুল থেকে নিচের দিকে ফেটে আলগা হয়ে গেছে। ডাক্তারি ভাষায় এই চোটের নাম রাইট মেটাকার্পেল।

তারঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসকরা মাশরাফির হাতে প্লাস্টার করে দিয়েছেন। আর ধারণা দিয়েছেন এই চোট থেকে সেরে উঠতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।


ভ্রমন

search 
wwww.google.com j.        jobwww.odesk.com      Newsctg24bd.blogspot.com

চমক নিয়ে আসছে নোকিয়া



 টেক বিশ্ব:নকিয়া

ফিরবে। নকিয়া প্রেমীদের মনে এ বিশ্বাস ছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিরতি দিয়ে আবার স্মার্টফোনের দুনিয়ায় ফিরে এল ফিনল্যান্ডের এক সময়ের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নকিয়া। নকিয়া ব্র্যান্ড নামে ফোন তৈরি করছে ফিনল্যান্ডের এইচএমডি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েডচালিত প্রথম স্মার্টফোনের ঘোষণা দিল।
নতুন এই ফোনের নাম ‘নকিয়া সিক্স’। এটি চলবে অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ বা নোগাট অপারেটিং সিস্টেমে। চীনের বাজারে প্রথমে এ ফোনটির ঘোষণা দিয়েছে এইচএমডি গ্লোবাল। ফোনটির দাম হবে এক হাজার ৫৯৯ ইউয়ান বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার ৩২০ টাকার মতো। এইচএমডি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে আরও নকিয়া ব্র্যান্ডের কয়েকটি মডেলের অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনবে তারা।

কী আছে নকিয়ার নতুন ফোনে? নকিয়া সিক্স স্মার্টফোনটিতে রয়েছে দুই সিম সুবিধা। সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফুড এইচডি (১০৮০ বাই ১৯২০ পিক্সেল) রেজুলেশনের ডিসপ্লে ও টু পয়েন্ট ফাইভ ডি বাঁকানো গ্লাস কোটিং, অক্টাকোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ প্রসেসর, ৪ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সুবিধা। এতে মাইক্রো এসডি সমর্থন করবে। স্মার্টফোনের সামনে এলইডি ফ্ল্যাশ যুক্ত ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ফেশ ডিটেকশন অটোফোকাস এফ/ ২.০ অ্যাপারচার, সামনে ৮৪ ডিগ্রি ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সসহ ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ফোরজি এলটিই, ব্লুটুথ ৪.১, ইউএসবি ওটিজি, ওয়াই-ফাই ও তিন হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ফোনটির ফিচার। এতে আরও থাকছে ডুয়াল স্পিকার, ৩. ৫ মিমি হেডফোন জ্যাক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
সূত্র-প্রথম-আলো

১৬ দিনে সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিল আমিরের 'দঙ্গল '






বিনোদন ডেক্স:নিজের রেকর্ডই ভাঙলেন আমির খান। এতদিন ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করার তালিকায় সবচেয়ে ওপরে ছিল রাজকুমার হিরানি পরিচালিত আমির খান অভিনীত পিকে।


নীতীশ তিওয়ারি পরিচালিত দঙ্গল সেই রেকর্ড ভেঙে দিল। পৌঁছে গেল তালিকার প্রথম স্থানে।
ছবিটি প্রথম তিন দিনেই ১০০ কোটির সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন সর্বকালের সেরা জনপ্রিয় ছবি হতে চলেছে দঙ্গল। সেই কথাই ফলে গেল।

সিনেমার বিজনেস অ্যানালিস্ট তরুণ আদর্শ টুইটারে জানালেন, ‘‌কেবল মাত্র ভারতেই এই কদিনে ৫০৩ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে দঙ্গল। এর সঙ্গে যুক্ত আছে বিদেশের ব্যবসাও। ১৬ দিনের বিচারে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ৪৯৩.‌৮৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে দঙ্গল। দেশে এই ব্যবসার পরিমাণ ৩৩০ কোটির মত। বাকিটা বিদেশে। মোট অঙ্কের বিচারে পিকের উপার্জন ছিল ৩৪১ কোটির মত। দঙ্গল তার থেকে এগিয়ে আনেকটাই। '

ইসলামিক সেনা জোটের প্রধান হলেন রাহীম শরিক






আন্তর্জাতিক ডেক্স:    পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) রাহীল শরিফকে ৩৯টি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামিক সামরিক জোটের প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর ডন'র।

সন্ত্রাস দমনে সৌদি আরব গত বছরের ডিসেম্বরে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। এ জোট সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে কাজ করবে।

জিও টিভি'র টকশো-তে খাজা আসিফ জানান, কিছুদিন আগে রাহীল শরিফকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

রিয়াদ কিংবা ইসলামাবাদ এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কি না- এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'না, অবশ্যই এই নিয়োগে পাকিস্তান সরকারের অংশগ্রহণ ছিল।'

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগে সব ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে।

রাহীল শরিফ তার তিন বছরের মেয়াদ শেষে ২০১৬ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেন। দায়িত্ব পালনকালে দেশটির সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পর